
সায়েদুর রহমান রাসেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু মোছা’র উপস্থিতিতে তার বাহিনী এক যুবককে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবক একই ইউনিয়নের বাছিদপুর গ্রামের মোঃ ইউনুস মিয়ার ছেলে মাইক্রোচালক মোঃ এরশাদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ তুলে ধরেন আহত ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) ইব্রাহিমপুর এতিমখানা গেইট সংলগ্ন ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের সামনে।
সংবাদ সম্মেলনে মো: এরশাদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান বাহিনীর নেতা জাফরপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান জিবু’র নেতৃত্বে ৫/৭জনের একটি বাহিনী তার উপর এ হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাকে নবীনগর সদর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সরকারি হাসপাতালে রেফার করেন। প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে থানায় মামলা করতে ঢুকতে পারেননি এরশাদ বলেও জানান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার ডান চোখের পাশে মারাত্মক আঘাত ও সারা শরীরে থেতলা জখম রয়েছে।
তিনি আরও জানান,পারিবারিক দ্বন্দ্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে এরশাদ ও তার চাচা আহাদ মিয়ার মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। তার চাচা আহাদ মিয়া চেয়ারম্যান মোঃ আবু মোছার অতন্ত বিশ্বস্ত ও কাছের লোক। সে বেচেঁ থাকলে ওই জমি দখল করতে পারবে না তার চাচা আহাদ মিয়া তাই পূর্ব পরিকল্পিভাবে তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে এনে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উস্থিত ছিলেন।
এরশাদ জানান, নবীনগর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়ার পথে হামলাকারিরা তাকে মামলা করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এজন্য থানা প্রশাসনের কাছে তার জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু মোছা’র সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি, ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন জবাব দেননি।