
ইমদাদুল হক: গত ২৮ জানুয়ারি সাভারের আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় জনৈক দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি থেকে আশুলিয়া থানার পুলিশ ববিতা নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর ধারাবাহিকতায় পুলিশ তদন্ত করে মঙ্গলবার ভোর রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিহত নারীর প্রেমিক শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা (২৬) নামের এক পোশাক শ্রমিককে গ্রেফতার করে। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন।
গ্রেপ্তার শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। অপরদিকে, নিহত ববিতা গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার পশ্চিম খাটিয়ামারি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ববিতা গাজীপুরে থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তার পূর্বের স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হলে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় এসে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। পরে শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজার সাথে নিহত ববিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ববিতা শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে শিমুল বিয়েতে রাজি না থাকায় ববিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শিমুল স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার দুই দিন পর ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শিমুল। পরে কক্ষের বাহির থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় শিমুল। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে গণমাধ্যমকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবুল মালেক জানান, হত্যাকারী শিমুল রেজা খুব চালাক প্রকৃতির। তিনি হত্যাকান্ডের পর নিহতের ভোটার আইডি সহ সকল কাগজপত্র লোপাট করে নিয়ে যায়। তদন্তকালে ববিতার পূর্বের স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে এসব তথ্য সংগ্রহ করে শিমুলকে গ্রেফতার করা হয়।