
মো: আল মাসুম খান: সাবেক বিডিআর পরিবারের সদস্যগণ আজ (শনিবার) সকাল ৯ টা হইতে ১০:৩০ মিনিট পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগারে আটক হাজতী বন্দিদের খুলনা বিভাগের দশ জেলা ও পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলা থেকে দুই শতাধিকের পরিবারের কারো পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী, ভাই বোন, চাচা, মামা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানববন্ধন করে।
উক্ত মানববন্ধনে পরিবারের সদস্যরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বরাবরে অশ্রুভেজা কন্ঠে প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মানববন্ধনে খুলনা বিভাগের সকল জেলা থেকে আগত পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় দীর্ঘ ষোল বছর কারাগারে আটক তাদের প্রিয় আপনজনেরা বিডিআর আদালতে সর্বোচ্চ সাত বছর শাস্তি পেয়েছিল। এরপরে হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করার পরে এখন হাজতি হিসাবে কারাগারে আটক আছে।
পরিবার সদস্যরা আরো বলেন, দীর্ঘ ষোলো বছর আগে পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আইনজীবীর ভুলের কারণে মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, বিডিআর আদালতে একটি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল। অপর দুইটি মামলা বিডিআর বিদ্রোহের স্পেশাল আদালত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণের আদালতে একই সংঘটিত ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছিল- একটি হত্যা মামলা অপরটি বিস্ফোরক মামলা। বিডিআর ও হত্যা মামলায় খালাস প্রাপ্ত ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে প্রায় ৫০০ শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্য শুধুমাত্র অপর বিস্ফোরক মামলাটির নিয়মিত আদালতে সাক্ষী না আসায় দীর্ঘ ১৬ বছর বন্দী হয়ে কারাগারে আটক আছে।
বিশেষ আদালত ও হত্যা মামলাটি দুই বছর ১০ মাসে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় দেয়া হয়। আর দুর্ভাগ্যবশত বিস্ফোরক মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ২৮৫ জন সাক্ষীর সাক্ষী নেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে আগত একজন পরিবারের সদস্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে একই ঘটনায় দুই ভাবে ২টি মামলা পরিচালনার কোন নজির নাই।
মানববন্ধনে আগত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আকুল আবেদন জানিয়েছে অবিলম্বে বিস্ফোরক মামলাটির দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার।