
এমডি আল মাসুম খান: খুলনায় ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহাজারি করছেন নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামির স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। সুমনের ৬ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা তার বাবার জন্য চিৎকার করে কাঁদছে।
রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সুমনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস চিৎকার করে কান্না করছে আর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আকুতি জানাচ্ছে সুমনকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আত্মীয়-স্বজনদের পায়ে ধরে স্বামী সুমনকে তার কাছে এনে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। সুমনের স্ত্রীর আকুতি দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মঈনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সান্ত্বনা দেন সুমনের পরিবারকে।
কনস্টেবল নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা পুলিশ লাইন এলাকায়। সুমন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের এসি সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। খুলনার গল্লামারির মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হন কনস্টেবল সুমন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় পুলিশ সদস্য সুমন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এসি সৌমেন বিশ্বাস জানান, সুমন এবং তিনি একসঙ্গে ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলনের তীব্র সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা দলছুট হয়ে যান। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ইউনিফর্ম খুলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ড্রেনের মধ্যে ছিলেন। এর কোনো এক সময় আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল সুমনকে নৃংশস ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।